এ উপজেলায় রাধাগঞ্জ ইউনিয়নে ব্যাপক পরিমানে শামুক রয়েছে। কোটালীপাড়া উপজেলা মেঘনা খাড়ি পললভূমি দ্বারা গঠিত। উপজেলার বাঘিয়ার বিল এলাকায় প্রাকৃতিক সম্পদ পিট কয়লা রয়েছে।
ভৌগোলিক ভাবে কোটালীপাড়া পূর্বাঞ্চলীয় সক্রিয় গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র বদ্বীপে অবস্থিত। কোটালীপাড়া গাঙ্গেয় প্লাবনভূমি অর্থাৎ পদ্মা বিধৌত নিম্ম পলল ভূমি এলাকা। গাঙ্গেয় প্লাবনভূমির দক্ষিণ প্রান্তে গোপালগঞ্জ-খুলনা পীট অববাহিকা আবদ্ধ রয়েছে।গোপালগঞ্জ-খুলনা পিট অববাহিকা গাঙ্গেয় প্লাবনভূমি এবং গাঙ্গেয় জোয়ারভাটা প্লাবনভূমি এলাকার মধ্যে অবস্থিত একাধিক নিম্ন এলাকা নিয়ে ২,৭৬৮ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের একটি ভূ-প্রাকৃতিক অঞ্চল। এই এলাকার প্রধান দুটি বিলের অন্যতম হচ্ছে কোটালীপাড়ার বাঘিয়া বিল। বর্ষস্থায়ী আর্দ্র অববাহিকাসমূহ জুড়ে ভারি পীট মৃত্তিকা বিদ্যমান, তবে প্রান্তীয় এলাকায় এই মৃত্তিকা কর্দম দ্বারা আবৃত। এই এলাকা বাংলাদেশের বৃহত্তম পিট মজুদকারী অববাহিকা। বর্ষা মৌসুমে এই অববাহিকা অঞ্চল বৃষ্টির পানির দ্বারা গভীরভাবে প্লাবিত হয়ে থাকে। বাংলাদেশের কৃষি-প্রতিবেশ অঞ্চল ১৪-তে অন্তর্ভুক্ত এলাকাটি শুষ্ক মৌসুমে ভিজা থাকে এবং বর্ষা মৌসুমে গভীরভাবে প্লাবিত হয় ও প্রায় প্রত্যেক বছরেই কম-বেশি বন্যা কবলিত হয়। চান্দা বিল ও বাঘিয়া বিলের ৫১৮ বর্গ কিলোমিটার অঞ্চল জুড়ে প্রাকৃতিক সম্পদ পিট কয়লা রয়েছে, এবং সরকারি হিসাবে এর পরিমান ১৫০ মিলিয়ন টন। নিম্নমানের ভিজা পিটের ভারবহন ক্ষমতা কম এবং এগুলো শুকানো হলে সঙ্কুচিত হয়ে পড়ে। স্তরগুলো অপরিবর্তনীয়ভাবে শক্ত হয়ে কয়লা-সদৃশ পিন্ডে পরিণত হয় এবং এদেরকে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস