২। উপজেলা পটভূমি ঃ কোটালীপাড়া প্রাচীন স্বাধীন বঙ্গরাজ্যের একটি প্রাচীরঘেরা সুরক্ষিত নগরী। গোপালগঞ্জ জেলা সদর হতে ২৮ কিঃ মিঃ দূরে ঘাঘর (শৈলদহ) নদীর তীরে এ প্রাচীর নগরীর অবস্থান। এ নগরীকে চন্দ্রবর্মা কোটও বলা হতো। শ্যামাচন্দ্র দেবের ঘুগ্রাহাটি তাম্র লিপিতে বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে। শ্যামাচন্দ্র দেব পুশকরনের বাসিন্দা ছিলেন। তার পিতা সিংহ বর্মন পুশকরনের রাজা ছিলেন। ৩১৫ খ্রিষ্টাব্দে চন্দ্রবর্মা কোটালীপাড়া জয় করে ৩০০ ফুট উঁচু একটি মাটির প্রাচীর নির্মান করেন। এ প্রাচীরের পূর্ব-পশ্চিমে দৈর্ঘ্য ছিল ৪.৪৫ কিঃ মিঃ এবং উত্তর-দক্ষিনে দৈর্ঘ্য ছিল ৩.০০ কিঃ মিঃ। এ মাটির দূর্গটিকে ‘চন্দ্রবর্মা কোর্ট’ বলা হতো। এ প্রাচীরের রক্ষক বা কর্মকর্তাকে বলা হতো ‘কোটপাল’। এ থেকে কোটালীপাড়া নামের উৎপত্তি। তাছাড়া নিম্নোক্তভাবে কোটালীপাড়া নামের উৎপত্তি হয়েছে বলে অনেকে মনে করেন।
Kot means Durga
Ali mesns wall
Para means inhabitants
এতদ্ব্যতীত ‘কোটাল’ ও ‘পাড়া’ শব্দ দু’টি একত্রিত হয়ে কোটালীপাড়া শব্দটির উৎপত্তি হয়েছে। আর এখানে ‘কোটাল’ শব্দের অর্থ ‘যোদ্ধা’ বা ‘নগররক্ষক’ এবং ‘পাড়া’ শব্দের অর্থ বসতি। অর্থাৎ ‘যোদ্ধা’ বা নগররক্ষকদের বসতি। শব্দের বিচারে বলতে গেলে এই অঞ্চলে যোদ্ধা বা নগররক্ষকদের বসতি গড়ে ওঠার কারণে এ অঞ্চলের নামকরণ করা হয় কোটালীপাড়া।